রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাভিলাষী বললেন অর্থমন্ত্রী
প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের ৭১ শতাংশের বেশি অর্থ রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের পরিকল্পনাকে উচ্চাভিলাষী বললেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইয়েস, আমি নিজেই বলেছি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত বছরে রাজস্ব আদায়ের মান ছিল নিম্নমানের। কিন্তু আপনারা যদি আগের বছরে দেখেন সেটা সব সময় দুই ডিজিটের বেশি ছিল। গতবারে কম হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন নতুন অফিস হয়েছে, জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারবো।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর সব দেশের থেকে কম রাজস্ব আদায় করি। একটি না দুইটি দেশ আমাদের নিচে আছে। আমাদের হ্যাবিটটা চেইঞ্জ করা দরকার। রাজস্বের দিকে নজর দিতে হবে। কারণ আমরা সব সময় সরকার কী সেবা দিল তা নিয়ে হৈ চৈ করি, দাবি করি। কিন্তু সরকার সেবা দিতে গেলে যে রাজস্ব প্রয়োজন সেটা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাই না। তাই একটু রাজস্ব বেশি দিলে মন্দ হয় না।’
এ সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট-সেবার ওপর প্রস্তাবিত বাড়তি কর দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে ভোক্তাদের আপত্তি না করার আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।
মুহিত বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কেন না বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য নিম্নমুখী।
অর্থমন্ত্রী প্রারম্ভিক বক্তব্য না দিয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি কয়েকটি সংবাদের সমালোচনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থসচিব মাহবুব হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজী হাসান উপস্থিত ছিলেন। তারা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে অর্থমন্ত্রীকে সহায়তা করেন।
প্রসঙ্গত, ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং মোট রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। এতে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া












